ফজর | ৫:১০ |
যোহর | ১১:৫২ |
আসর | ৩:৩৭ |
মাগরিব | ৫:১৬ |
এশা | ৬:৩৩ |
সৌজন্যে- হোটেল অস্টার ইকো
কলাতলী, কক্সবাজার
মুঠোফোন : ০১৭৭৭৬৩১৬৯১, ১৮১২৫১৬৫৯০
হেরার আলো
|
বাণী চিরন্তন
|
আল-হাদিস
|
৫৩-সূরা নাজম ৬২ আয়াত, ৩ রুকু, মক্কী পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।
assets/data_files/web
আকৃতি ভিন্ন ধরনের হলেও গৃহ গৃহই। -এন্ড্রি উল্যাং।
স্বদেশপ্রেম ঈমানের অঙ্গ।
|
শিশুরা একটু দুষ্টুমি করবে, সারাদিন ছুটোছুটি করে মাতিয়ে রাখবে সবাইকে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বর্তমানের সব আধুনিক যন্ত্র, অ্যাপার্টমেন্টে বন্দী জীবন আর পড়ালেখার ভীষণ চাপে শিশুরা ঘরে আটকে থাকছে বেশির ভাগ সময়। এতে তাদের মানসিক বিকাশের সাথে সাথে শারীরিক বৃদ্ধিও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এই সব কারণে শিশু স্থূলতার হার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আপনার সন্তানের শারীরিক ও মেধার ভিত মজবুত করতে হলে তাকে খেলাধুলা ও হাসি আনন্দের মধ্য দিয়ে একটু একটু করে বুদ্ধিমান ও মেধাবী করে গড়ে তুলতে হবে।
সন্তানকে খেলাধুলার প্রতি আগ্রহী করার চেষ্টা করুন : সকল শিশুই যে খেলাধুলায় ভালো হবে এমন নয়। তবে নিছক বিনোদনের জন্যই সন্তানকে খেলাধুলায় আগ্রহী করে তুলুন। সে যে খেলা খেলতে ভালোবাসে তাকে সেটা খেলতে দিন। তবে অপছন্দের খেলা জোর করে খেলতে বলবেন না, এতে সে মানসিকচাপ অনুভব করবে।
হয়তো সে প্রতিযোগীতামুলক খেলা পছন্দ করে না। তাহলে তাকে সাঁতারের স্কুলে ভর্তি করে দিতে পারেন। কিংবা ভর্তি করাতে পারেন কোন সেলফ ডিফেন্স-যেমন মার্শাল আর্ট, ক্যারাটে অথবা তাইকোয়ান্ডো স্কুলে। সেলফ ডিফেন্সের এই ক্লাসগুলো, শিশুকে অ্যাক্টিভ করার পাশাপাশি ভবিষ্যতে, বিশেষ করে মেয়ে সন্তানদের, অনেক বিপদের মুহুর্ত থেকে নিজেকে রক্ষা করতে সাহায্য করবে।
নাচ শেখাতে পারেন : আপনার সন্তান যদি কোনধরনের খেলাধুলায় একেবারেই আগ্রহী না হয়, তাহলে তাকে নাচ শেখাতে পারেন। আমাদের দেশে এখন ক্লাসিক্যাল নাচের স্কুলের পাশাপাশি আছে আরও নানা ধরনের প্রতিষ্ঠান। রয়েছে ব্যালে ক্লাস, যুম্বা, হিপহপসহ নানান মজাদার নাচের ক্লাস, যা আপনার সন্তানের আগ্রহ জাগিয়ে তুলবেই। এতে তার বিনোদনের পাশাপাশি শারীরিক পরিশ্রমও হবে। এটি তার শারীরিক গঠন ও মানসিক বিকাশে সহায়তা করবে।
সন্তানের সাথে খেলুন, সময় দিন : শিশুরা বড়দের দেখে শিখতে পছন্দ করে। তাই আপনার সন্তানের সাথে আপনিও যোগ দিন খেলাধুলা কিংবা নাচের মতো কাজে। এতে সে আরও বেশি আগ্রহী হয়ে উঠবে। পাশাপাশি আপনার সাথে সন্তানের সম্পর্ক আরও বন্ধুত্বপূর্ণ হবে।
প্রযুক্তির অপব্যবহার থেকে সন্তানকে বিরত রাখুন : আপনার সন্তান ভিডিও গেম, কম্পিউটার বা টিভি ইত্যাদিতে অতিরিক্ত সময় ব্যায় করছে কি না তা খেয়াল রাখুন। তারা যেন এসবে আসক্ত হয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ব্যয় না করে সেদিকে নজর দিন। কারণ এতে তাদের শারীরিক বৃদ্ধি ও মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়। শিশু হয়ে ওঠে অলস ও অসামাজিক।
হাঁটতে উৎসাহ জোগান : সন্তানকে হাঁটতে উৎসাহী করুন, হাঁটার উপকারিতা সম্পর্কে তাদের বলুন। মাঝে মাঝে সময় করে নিজেও তাদের সাথে হেঁটে আসুন। লিফটের পরিবর্তে সিঁড়ি ব্যবহার করতে বলুন।
পরিবার নিয়ে একটু ঘুরে আসুন : মাঝে মাঝে সন্তানদের নিয়ে পরিবারের সবাই একসাথে ঘুরে আসুন। সে হতে পারে বাড়ির কাছের পার্কে অথবা শহরের বাইরে কোন পিকনিক স্পট বা রিসোর্টে। উন্মুক্ত পরিবেশে একটু ছোটাছুটি করলে তাদের মানসিক বিকাশে সহায়তা হবে।
আজকের সুস্থ, সবল ও বুদ্ধিদীপ্ত শিশু আগামী বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ। তাই ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের এই কর্ণধারদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে পিতামাতা, পরিবার, সমাজ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে। সূত্র : অনন্যা।
হ্যাঁ | না | মতামত নেই |