'২ শিশু সন্তানসহ পরিবারের ৪ সদস্যের খেয়ে না খেয়ে দিন কাটছে লাখ টাকায় বাঁচতে পারে পঙ্গু মিন্টুর জীবন' শিরোনামে একটি সংবাদ গত রোববার চাঁদপুর কণ্ঠের তৃতীয় পৃষ্ঠায় ছাপা হয়েছে। এ সংবাদ পড়ে জানা যায়, মিন্টু পঙ্গু হয়ে মাতৃগর্ভ থেকে ভূমিষ্ঠ হননি। একটি দুর্ঘটনাই মিন্টুর মতো শক্ত-সমর্থ যুবককে পঙ্গু করে দিয়েছে। শারীরিক সামর্থ্যের কারণে দিনমজুরির মাধ্যমে যে মিন্টু রোজগার করে সংসারের চাকা ঘূর্ণায়মান রাখতেন, স্ত্রী ও দু সন্তানের ভরণ-পোষণ করে তার ছোট্ট কুটিরে সুখনিদ্রায় রাতযাপন করতেন, সেই মিন্টুর জীবন এখন দুর্বিষহ। দুর্ঘটনায় পঙ্গুত্বই তিনি বরণ করেননি, যথাযথ চিকিৎসার অভাবে তিনি এখন জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে অবস্থান করছেন।
হাজীগঞ্জ উপজেলাধীন বাকিলা ইউনিয়নের মহেশপুর গ্রামের আব্বাস উদ্দিনের ছেলে এই মিন্টু। গত এক বছর ধরে হুইল চেয়ারে বসে জীবন কাটছে মিন্টুর। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মেরুদ-ের অপারেশন করতে হলে কমপক্ষে ১ লাখ টাকা দরকার। মিন্টুর সংসার চলছে প্রতিবেশীদের সহায়তায়। যেদিন কিছু পাওয়া যায়, সেদিন ২ শিশু সন্তানসহ ৪ জনের চুলায় হাড়ি চড়ে, আর যেদিন কিছু পাওয়া যায় না, সেদিন না খেয়ে থাকতে হয়। যেখানে খাবার জোটানো কষ্টকর, সেখানে চিকিৎসার জন্যে এক লাখ টাকা জোগাড় করা তো আকাশ কুসুম কল্পনা ছাড়া আর কিছুই নয়। ইউপি চেয়ারম্যান ইউসুফ পাটোয়ারী মিন্টুর পঙ্গু ভাতার ব্যবস্থার আশ্বাস দিয়েছেন, কিন্তু চিকিৎসার ব্যয় মিটাতে সরকারি অনুদান কিংবা বিত্তবান চিত্তবান মানুষের আর্থিক সহযোগিতার বিকল্প নেই বলে আপাতত মনে হচ্ছে।
কোনো সড়ক দুর্ঘটনা বা অন্য কোনো দুর্ঘটনায় মিন্টু পঙ্গুত্ববরণ করেন নি। তিনি প্রতিবেশীর অনুরোধে সুউচ্চ সুপারি গাছে উঠে সুপারি পাড়তে তথা সংগ্রহ করতে গিয়ে নিচে পড়ে মারাত্মক আহত হয়েছেন। এজন্যে তাকে ঢাকায় পঙ্গু হাসপাতালে পর্যন্ত নিতে হয়েছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষায় প্রমাণিত হয়েছে, সুপারি গাছ থেকে পড়ে মেরুদ-ের হাড় তিন স্থানে ভেঙ্গে যাওয়ায় তার অপারেশন জরুরি। কিন্তু অর্থাভাবে সেই অপারেশন না করে মিন্টুকে বাড়ি ফিরতে হয়েছে এবং হুইল চেয়ারে বসে দুর্বিষহ জীবন কাটাতে হচ্ছে। দয়ার্দ্র বিত্তবান ও চিত্তবান মানুষদের সহযোগিতায় মিন্টু সুস্থজীবন ফিরে পাক এমনটাই আমাদের প্রত্যাশা।
এ প্রত্যাশার পাশপাশি আমরা প্রসঙ্গক্রমে বলতে চাই, যতোই দিন যাচ্ছে, আধুনিকতার ছোঁয়ায় বিভিন্নমুখী কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় দিন মজুরি খাটার মতো লোকজনের সংখ্যা ক্রমশ কমে যাচ্ছে। গাছ থেকে ফল পেড়ে খাবার মতো লোকজন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এমতাবস্থায় আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু, পেয়ারা ইত্যাদি ফল সংগ্রহে টোডা, চঙ্গা ব্যবহার করা গেলেও সুউচ্চ নারকেল, সুপারি, তাল, খেজুর গাছ থেকে সহজে ফল সংগ্রহ করা যাচ্ছে না। খেজুর গাছের রস সংগ্রহে গাছিও বিলুপ্তির পথে। থাইল্যান্ড সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রশিক্ষিত বানরের মাধ্যমে কিংবা আধুনিক ও নিরাপদ উপায়ে সুউচ্চ গাছের ফলসমূহ সংগ্রহ করার উপায় উদ্ভাবন করা হয়েছে ও কাজে লাগানো হচ্ছে। একদিন আমাদের দেশে যে এই উপায় বা প্রক্রিয়া কাজে লাগাতে হবে না সেটি ভাবার অবকাশ নেই। এ ব্যাপারে কৃষি বিভাগকে ভেবে দেখার জন্যে এবং পদক্ষেপ গ্রহণে আগ্রহী হবার অনুরোধ জানাচ্ছি।
ফজর | ৫:০৩ |
যোহর | ১২:১১ |
আসর | ৪:২৫ |
মাগরিব | ৬:০৬ |
এশা | ৭:১৮ |
হেরার আলো
|
বাণী চিরন্তন
|
আল-হাদিস
|
৪৪-সূরা দুখান
আইনের মৃত্যু হয় কিন্তু গ্রন্থের মৃত্যু নেই। মুসলমানগণের মধ্যে যার স্বভাব সবচেয়ে ভালো সেই সর্বাপেক্ষা ভালো ব্যবহার করে, তারাই তোমাদের মধ্যে সর্বাপেক্ষা শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি। |
করোনা পরিস্থিতি | ||
বাংলাদেশ | বিশ্ব | |
আক্রান্ত | ৫,৩৮,০৬২ | ১০,৬৪,২৭,১০৩ |
সুস্থ | ৪,৮৩,৩৭২ | ৭,৮০,৮৪,৯০৯ |
মৃত্যু | ৮,২০৫ | ২৩,২২,০৫৩ |
দেশ | ২১৩ | |
সূত্র: আইইডিসিআর ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। |
হ্যাঁ | না | মতামত নেই |