আড়াইশ' শয্যাবিশিষ্ট চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্টের কাজ প্রায় ৯০ ভাগ শেষ হয়ে গেছে। বাদবাকি ১০ ভাগ আজকালের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। এর পরপরই এটি উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে কার্যক্রম শুরু হয়ে যাবে। এখন হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় অবস্থিত আইসোলেশন ওয়ার্ডে এবং করোনায় আক্রান্ত রোগীদের জন্যে সংরক্ষিত তৃতীয় তলায় দুটি কেবিনে এটির সংযোগ দেয়া হবে। আগামীকাল শনিবার অথবা রোববার উদ্বোধন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পুরো প্লান্টটিই করা হচ্ছে শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনির পিতার নামে প্রতিষ্ঠিত ভাষাবীর এমএ ওয়াদুদ মেমোরিয়াল ট্রাস্টের অর্থায়নে।
বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের সুচিকিৎসায় চাঁদপুর জেলার সর্ববৃহৎ এই হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্ট বসানো হচ্ছে। এর দ্বারা অক্সিজেনের অভাবে সঙ্কটাপন্ন রোগীদের হাই ফ্লো অক্সিজেনের মাধ্যমে সাপোর্ট দেয়া হবে। এতে করে অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যুর ঘটনা একেবারেই কমে আসবে।
উল্লেখ্য, চাঁদপুরে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর শহর গ্রাম সর্বত্র মানুষ কিছুটা ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে। অনেকেই এই রোগের লক্ষণ প্রাথমিকভাবে লুকিয়ে রাখে। তারা বাড়িতেই থেকে প্রাথমিকভাবে নানা ঔষধ খেতে থাকে। কিন্তু প্রয়োজনীয় চিকিৎসা না নেয়ায় সেসব রোগীর অবস্থা একটা পর্যায়ে খুব দ্রুত খারাপ অবস্থায় গিয়ে পেঁৗছে। বিশেষ করে ওই রোগীর শ্বাস-প্রশ্বাসে মারাত্মক সমস্যা দেখা দেয়। এ মুমূর্ষু অবস্থায় রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। আর এ মুহূর্তেই এই রোগীর জন্যে হাই ফ্লো অক্সিজেনের প্রয়োজন হয়। যা নরমাল সিলিন্ডার অক্সিজেন দ্বারা সম্ভব হয় না। তখনই দেখা গেছে যে, ওই রোগীকে আর বাঁচানো যায় না। এমন বেশ কিছু রোগী হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে মারা গেছে হাই ফ্লো অক্সিজেনের সাপোর্ট না পাওয়ার কারণে।
এ বিষয়টি নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও সিভিল সার্জন স্থানীয় সংসদ সদস্য শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এবং তাঁর বড়ভাই ডাঃ জেআর ওয়াদুদ টিপুর সাথে কথা বলেন। বিষয়টি শিক্ষামন্ত্রী এবং তাঁর ভাই বেশ গুরুত্বের সাথে নেন। ত্বরিত তাঁরা সিদ্ধান্ত নেন হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্ট স্থাপনের বিষয়ে। এটি খুব দ্রুত প্রয়োজন এমন চিন্তা থেকে ভাষাবীর এমএ ওয়াদুদ মেমোরিয়াল ট্রাস্টের অর্থায়নে এই অক্সিজেন প্লান্টটি করার সিদ্ধান্ত নেন ভাষাবীরের দুই সন্তান ডাঃ দীপু মনি এবং ডাঃ জেআর ওয়াদুদ টিপু। সিদ্ধান্ত নেয়ার পরপরই খুব দ্রুততার সাথে কাজ শুরু হয়। স্পেক্ট্রা ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড এই অক্সিজেন প্লান্ট বসানোর দায়িত্ব পায়।
এই কোম্পানির এজিএম ইঞ্জিনিয়ার জাহাঙ্গীর আলমের সাথে গতকাল এই প্রতিবেদক কথা বলে জানতে পারেন এটির ৯০ ভাগ কাজ শেষ হয়ে গেছে। বাদবাকি ১০ ভাগ কাজ দু-একদিনের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। এর পরই এটি উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে কার্যক্রম শুরু হয়ে যাবে। হাসপাতালের মূল ভবনের নিচ তলায় গাইনি ওয়ার্ডের একটি বড় কক্ষে যেখানে প্লান্টটি বসানো হয়েছে সেখানে গতকাল সরজমিনে গিয়ে প্রস্তুতি কাজ দেখা যায়। তখন সেখানে হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ও ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ একেএম মাহবুবুর রহমান, আবাসিক সার্জন ও জেলা বিএমএ'র সাধারণ সম্পাদক ডাঃ মাহমুদুন্নবী মাসুম, হাসপাতালের আরএমও ও করোনা বিষয়ে ফোকালপার্সন ডাঃ সুজাউদ্দৌলা রুবেল এবং ডাঃ নোমান উপস্থিত ছিলেন। সাথে ছিলেন স্পেক্ট্রা ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের সাইট ইঞ্জিনিয়ার সাইফ চৌধুরী। সেখানে তখন দেখা গেলো প্রায় সকল কাজই শেষ। এখান থেকেই অক্সিজেন আইসোলেশন ওয়ার্ডে সাপ্লাই দেয়া হবে। একইভাবে আইসোলেশন ওয়ার্ডের ২৫টি বেডে অক্সিজেন সরবরাহের কাজও শেষ। তখন পর্যন্ত বাকি ছিলো তৃতীয় তলায় দুটি কেবিনে সংযোগের কাজ। এটিও আজকের মধ্যে হয়ে যাবে বলে জানান সাইট ইঞ্জিনিয়ার সাইফ চৌধুরী।
ফজর | ৫:২৩ |
যোহর | ১২:১১ |
আসর | ৪:০৫ |
মাগরিব | ৫:৪৪ |
এশা | ৬:৫৯ |
হেরার আলো
|
বাণী চিরন্তন
|
আল-হাদিস
|
৯০-সূরা বালাদ ২০ আয়াত, ১ রুকু, মক্কী পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।
১৬। অথবা দারিদ্র্য-নিষ্পেষিত নিঃস্বকে, ১৭। তদুপরি সে অন্তর্ভুক্ত হয় মু'মিনদের এবং তাহাদের, যাহারা পরস্পরকে উপদেশ দেয়, ধৈর্য ধারণের ও দয়া-দাক্ষিণ্যের;
assets/data_files/web
বন্ধু অপেক্ষা শত্রুকে পাহারা দেওয়া সহজ। _আলকমেয়ন।
যারা সংসার থেকে চলে গেছে তাদের দোষ কীর্তন করো না।
|
করোনা পরিস্থিতি | ||
বাংলাদেশ | বিশ্ব | |
আক্রান্ত | ৫,১২,৪৯৬ | ৮,২৪,৩৫,৪৮২ |
সুস্থ | ৪,৫৬,০৭০ | ৫,৮৪,৪৩,৫১৫ |
মৃত্যু | ৭,৫৩১ | ১৭,৯৯,২৯৪ |
দেশ | ২১৩ | |
সূত্র: আইইডিসিআর ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। |
হ্যাঁ | না | মতামত নেই |