চাঁদপুর শহরে কালীবাড়ি মোড় সংলগ্ন জেএম সেনগুপ্ত রোডস্থ ইস্টার্ন লাইব্রেরী, চাঁদপুর প্রেস ও সাগরিকা কনফেকশনারী দখলের উদ্দেশ্যে টিনের বাউন্ডারি দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন লীজ গ্রহীতা মুনির আহমেদ। রাতের অাঁধারে বেআইনিভাবে এ কাজটি করেছে প্রতিপক্ষরা। গতকাল ৪ ডিসেম্বর শুক্রবার ভোরে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় জেলা প্রশাসকের নিকট থেকে লীজ গ্রহীতা মুনির আহমেদ আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্যে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন। তিনি বিষয়টি তাৎক্ষণিক জেলা প্রশাসক, এডিসি (রেভিনিউ) ও সদর এসিল্যান্ডকে জানিয়েছেন বলে জানান।

মুনির আহমেদ জানান, ১৯৪৮ সাল থেকে তিনি এ জায়গায় লাইব্রেরী ও প্রেসের ব্যবসা করে আসছেন। এ বিষয়ে অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যার্পণ ট্রাইব্যুনালে ৪২৪/১২ মামলা চলমান থাকা অবস্থায় কেউ ওই সম্পত্তি দখল করতে পারে না। ওই সম্পত্তি 'ক' তফসিলভুক্ত হওয়ায় সম্পূর্ণভাবে জেলা প্রশাসকের আওতাধীন। রাতের অাঁধারে জোর করে এই সম্পত্তি দখল করা সম্পূর্ণ বেআইনি।

তিনি আরো জানান, ৮, জেএম সেনগুপ্ত রোড ইস্টার্ন লাইব্রেরী, চাঁদপুর প্রেস ও সাগরিকা কনফেকশনারী ৭.৩১ শতাংশ জায়গা ও স্থাপনার মধ্যে মুনির আহমেদের দখলে ২.৫৮ শতাংশ এবং সাগরিকার .৫৮ শতাংশ। এর মধ্যে মুনির আহমেদের দখলে থাকা ২.৫৮ শতাংশ জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে লীজপ্রাপ্ত। পরবর্তীতে এর মালিকানা নিয়ে আদালতে মামলা হয়। আদালতের রায় না হওয়ার আগেই জোরপূর্বক দখল করা হলো। এই সম্পত্তি অর্পিত সম্পত্তি 'ক' তফসিলের জায়গা এবং গেজেটভুক্ত। তারা যদি হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্টের রায় পেয়ে থাকে তাহলে কোর্টের মাধ্যমে সে জায়গা ডিসি সাহেব দখল বুঝিয়ে দেবেন। এই মর্মে আদালতে চলমান মামলার সিদ্ধান্ত মানতে বাধ্য থাকা অঙ্গীকারনামা রয়েছে। তার আগে সেই সম্পত্তি দখল করতে গেলো কেন? বেআইনিভবে জোরপূর্বক গুলশান আরা বেগম গং রাজু বেপারী এ জায়গা দখলের জন্য টিনের বাউন্ডারি দেয়।

সাগরিকা কনফেকশনারীর স্বত্বাধিকারী মোঃ মেরশেদ আলম খান জানান, পাকিস্তান আমলে এটা ছিল আমজাদীয়া লাইব্রেরী। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত লাইব্রেরী ব্যবসা পরিচালনা করা হয়। পরে ব্যবসার ধরণ পরিবর্তন করে সাগরিকা স্টোর করা হয়।

গুলশান আরা বেগমের স্বামী রাজু বেপারী জানান, ক্রয় সূত্রে আমার স্ত্রী গুলশান আরা বেগম এ সম্পত্তির মালিক। একটি চক্র এ সম্পত্তিকে অর্পিত সম্পত্তি হিসেবে গেজেট করেছিলো। এ ব্যাপারে মহামান্য হাইকোর্টে মামলা করলে হাইকোর্ট অর্পিত সম্পত্তি নয় বলে আমাদের পক্ষে রায় প্রদান করে। ঐ চক্র এ রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করে। মহামান্য হাইকোর্ট সুপ্রিমকোর্টের রায়কে বহাল রাখে। এখন এ সম্পত্তি অর্পিত সম্পত্তি নয়। আমি রাতের অাঁধারে নয়, দিনের আলোতে আমার জায়গায় ভবন করার উদ্দেশ্যে বেড়া দিয়েছি।