এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, স্ট্রোকজনিত মৃত্যুর সংখ্যা বিশ্বের ৩ নম্বর এবং স্ট্রোকের কারণে স্নায়ুজনিত অক্ষমতার অবস্থান ২য়। মেডিকেল ভাষায় স্ট্রোককে সেরেব্রো ভাস্কুলার ডিজিজ বলে।
ব্রেন বা মস্তিষ্কের স্ট্রোক সাধারণত দুই ধরনের হয়ে থাকে-
* ইসকেমিক স্ট্রোক- মস্তিষ্কের মধ্যকার ধমনিগুলাতে রক্ত চলাচল কম হয়।
* হেমরেজিক স্ট্রোক- মস্তিষ্কের মধ্যকার ধমনিগুলো ছিড়ে রক্তক্ষরণ হয়।
স্ট্রোক কেন হয়
বিভিন্ন কারণে ব্রেন বা মস্তিষ্কের স্ট্রোক হতে পারে।
যেমন-
* অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ
* অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস
* হাইপারলিপিডেমিয়া বা আথেরোস্কেলরসিস
* অবেসিটি বা অধিক ওজন
* ধূমপান
* মানসিক দুশ্চিন্তা
* নিদ্রাহিনতা
* এথেরএম্বলিজম বা কারডিওএম্বলিজম
* ব্রেন টিউমার
* হেড ইনজুরি বা আঘাতজনিত
* মেনিনজাইটিস
* এইচআইভি
* হেমাটোলজিকাল ডিস-অডার
উপসর্গ
* রোগীর এক পাশের হাত এবং পা আংশিক বা পুরোপুরি পারালাইজড হয়ে যায়।
* রোগী আক্রান্ত হাত ও পা নাড়াতে পারে না।
* আক্রান্ত হাত ও পায়ের ওপর ভর দিতে পারেন না।
* সঠিকভাবে কথা বলতে পারে না, অনেক ক্ষেত্রে মুখ বাঁকা হয়ে যায়।
* খাবার খেতে কষ্ট হয়।
* প্রস্রাব ও পায়খানায় নিয়ন্ত্রণ থাকে না।
* অনেক সময় মাথা ব্যথা করে, বমি ভাব হয়।
* ঘুম স্বাভাবিকভাবে হয় না।
* কিছু রোগী মেমরি বা পূর্বের ইতিহাস ভুলে যায় বা পরিচিত মানুষদের চিনতে পারে না।
রোগ নির্ণয়ে পরীক্ষা
কিছু প্যাথলজিকাল ও রেডিওলজিকাল পরীক্ষা করানো জরুরি।
যেমন -
প্যাথলজিকাল
* সিবিসি উইথ ইএসআর
* সেরাম কোলেস্টেরল লেভেল
* সেরাম ইলেক্ট্রোলাইট লেভেল
* সেরাম ক্রিয়েটিনিন এবং ইউরিয়া ইত্যাদি।
রেডিওলজিকাল
* কম্পিউটেড টমোগ্রাফি বা সিটি স্ক্যান- এটি জরুরি কারণ এর মাধ্যমে স্ট্রোকটি কি ধরনের (ইস্কেমিক স্ট্রোক অথবা হেমরেজিক স্ট্রোক) তা নির্ণয় করা যায়।
* ম্যাগনেটিক রিজনেন্স ইমেজিং (এমআরআই)-এর মাধ্যমে আরও সূক্ষ্মভাবে মস্তিষ্কের অবস্থা বোঝা যায়।
চিকিৎসা
চিকিৎসা ক্ষেত্রে রোগ নির্ণয় জরুরি, কারণ ইস্কেমিক স্ট্রোক অথবা হেমরেজিক স্ট্রোক উভয়ের চিকিৎসা ভিন্ন ভিন্ন এবং এটি একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রোগের ধরন অনুযায়ী চিকিৎসা দিয়ে থাকেন।
স্ট্রোক পরবর্তী প্যারালাইসিস বা পক্ষাঘাতগ্রস্ত রোগীকে আবার পূর্বের স্বাভাবিক জীবন-যাপনে ফিরিয়ে আনার জন্য ওষুধের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা হল ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা, এই চিকিৎসার মাধ্যমে একজন স্ট্রোক পরবর্তী প্যারালাইসিস বা পক্ষাঘাতগ্রস্ত রোগীকে সম্পূর্ণ পুনর্বাসন করা সম্ভব। সে ক্ষেত্রে একজন বিশেষজ্ঞ ফিজিওথেরাপি চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে নিয়মিত দিনে ৩-৪ বার ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা নিতে হবে ২-৬ মাস।
এ ক্ষেত্রে একজন বিশেষজ্ঞ ফিজিওথেরাপি চিকিৎসক রোগীকে পুনর্বাসনের জন্য একটি ট্রিটমেন্ট প্ল্যান তৈরি করে থাকেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল-
* ম্যানুয়াল থেরাপি
* থেরাপিউটিক এঙ্ারসাইজ
* প্রগ্রেসিভ কন্ডিশনাল এঙ্ারসাইজ
* প্যারালাল বার এঙ্ারসাইজ
* গেইট ট্রেনিং বা গেইট রি-এডুকেশন এঙ্ারসাইজ
* ইলেক্ট্রথেরাপি বা ইলেক্ট্রিকাল ইস্টিমুলেশন থেরাপি
* অকুপেশনাল ট্রেনিং
* বাউএল-বস্নাডার ট্রেনিং ইত্যাদি।
পরামর্শ
* রোগীকে পুষ্টিকর খাদ্য খাওয়াতে হবে।
* ডায়বেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
* চর্বি-জাতীয় খাদ্য খাওয়া পরিহার করতে হবে।
* ধূমপান ও তামাক জাতীয় দ্রব্যপরিহার করতে হবে।
* শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
* শেখার মতো ব্যায়াম করতে হবে।
লেখক : চেয়ারম্যান ও চিফ কনসালটেন্ট, ঢাকা সিটি ফিজিওথেরাপি হাসপাতাল, ধানম-ি, ঢাকা
ফজর | ৫:২৩ |
যোহর | ১২:০৯ |
আসর | ৩:৫৮ |
মাগরিব | ৫:৩৭ |
এশা | ৬:৫৩ |
হেরার আলো
|
বাণী চিরন্তন
|
আল-হাদিস
|
২৮-সূরা কাসাস ৮৮ আয়াত, ৯ রুকু, ‘মক্কী’ পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি। ৪৫। বস্তুত আমি অনেক মানবগোষ্ঠীর আবির্ভাব ঘটাইয়াছিলাম; অতঃপর উহাদের বহু যুগ অতিবাহিত হইয়া গিয়াছে। তুমি তো মাদইয়ানবাসীদের মধ্যে বিদ্যমান ছিলে না উহাদের নিকট আমার আয়াত আবৃত্তি করিবার জন্য। আমি তো ছিলাম রাসূল প্রেরণকারী। দয়া করে এই অংশটুকু হেফাজত করুন যে কোনো দিন পরাজিত হয়নি সে কোনো দিন বিজয়ী হতে পারবে না। -হেরনি ওয়ার্ড। যে শিক্ষা গ্রহণ করে তার মৃত্যু নেই। |
করোনা পরিস্থিতি | ||
বাংলাদেশ | বিশ্ব | |
আক্রান্ত | ৫,১২,৪৯৬ | ৮,২৪,৩৫,৪৮২ |
সুস্থ | ৪,৫৬,০৭০ | ৫,৮৪,৪৩,৫১৫ |
মৃত্যু | ৭,৫৩১ | ১৭,৯৯,২৯৪ |
দেশ | ২১৩ | |
সূত্র: আইইডিসিআর ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। |
হ্যাঁ | না | মতামত নেই |