চাঁদপুর, শনিবার, ১ এপ্রিল ২০২৩, ১৮ চৈত্র ১৪২৯, ৯ রমজান ১৪৪৪  |   ২০ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতি শিক্ষা স্বাস্থ্য সারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এমপি বলেছেন বঙ্গবন্ধু দেশটাকে শক্ত ভিতের ওপর দাঁড় করিয়ে দিয়ে গেছেন
  •   মতলব উত্তরে ৩ প্রতিষ্ঠানকে ৭ হাজার টাকা জরিমানা
  •   মতলব উত্তর নৌপুলিশের অভিযানে ১২৫ কেজি জাটকাসহ আটক ৪
  •   হাজীগঞ্জে পচা খেঁজুর বিক্রির দায়ে ২০ হাজার টাকা জরিমানা
  •   ফরিদগঞ্জে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে দেশীয় অস্ত্র ও মাদকসহ আটক তিন

প্রকাশ : ২৬ ডিসেম্বর ২০২২, ০০:০০

শতবর্ষ পরে আমাদেরকে স্মরণ করার পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে : -------মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম
মোঃ মঈনুল ইসলাম কাজল ॥

শাহরাস্তি উপজেলার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ওয়ারুক রহমানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ১২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মিলন মেলায় মুখরিত হয়ে ওঠে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ। ২৫ ডিসেম্বর সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থানে কর্মরত প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের আগমন ঘটে বিদ্যালয়ে। ১২৫ বছর পূর্তি উৎসব সফলভাবে সম্পন্ন করতে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করে আয়োজক কমিটি। সকাল সাড়ে ১১টায় পায়রা উড়িয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন প্রধান অতিথি মুক্তিযুদ্ধের ১নং সেক্টর কমান্ডার সাবেক সফল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এমপি। পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়।

অনুষ্ঠানের শুরুতে ডিসপ্লে প্রদর্শন করে অতিথিদের মন জয় করে নেয় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এতে খুশি হয়ে প্রধান অতিথি ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেন। মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম তাঁর বক্তব্যে বলেন, আজ কোনো শিক্ষার্থী পায়ে হেঁটে বিদ্যালয়ে যেতে হয় না। দেশে ব্যাপক উন্নয়ন হওয়ার কারণে সহজেই যাতায়াত করা যায়। বিশ্বের মধ্যে সবকিছু নিয়ে বিরোধ থাকলেও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার বিষয়ে সবাই ঐক্যবদ্ধ। ১২৫ বছর আগে যারা এই প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তুলেছেন তাদেরকে আমরা মনে রাখতে পারিনি। একটি সময় আসবে আমাদেরকে কেউ মনে রাখবে না। এ সময় তিনি কবিগুরুর শতবর্ষ কবিতার কিছু অংশ তুলে ধরে বলেন, আজ থেকে শতবর্ষ পরে কেউ এভাবেই আমাদেরকে মনে করবে সেই পরিবেশ আমাদেরকেই সৃষ্টি করতে হবে। এই বিদ্যালয়টি মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত। দেশ স্বাধীন না হলে আমরা আজ এভাবে পূর্তি উৎসব করতে পারতাম না। তিনি আরও বলেন, গরিব-অসহায় শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষার জন্যে এগিয়ে আসতে হবে। সবাই উদ্যোগ নিয়ে একটি ফান্ড তৈরি করে শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করলে অনেকেই উচ্চ শিক্ষার সুযোগ পেতো। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, কেনো অভাবের তাড়নায় শিক্ষার্থীরা উচ্চ শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হবে? একটি মানুষের জন্মের পর থেকে মৃত্যু পর্যন্ত শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। আমরা প্রতিনিয়ত কিছু না কিছু শিখছি। শিক্ষাটাই সকলের জীবনে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে হবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরিন আক্তার বলেন, আমরা এগিয়ে যাচ্ছি, আমাদের পথ দেখিয়ে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমাদের ভয় কী? আমাদের রক্তে প্রবাহিত হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। তিনি বলেন, ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে এলে ভালো লাগে, তোমরা হলো কাদার মতো, যেভাবে ইচ্ছে গঠন হতে পারবে। এসএসসি ও এইচএসসির পর তোমাদের জীবনে পরিবর্তন আসে, তাই নিজেদেরকে ধরে রাখতে হবে। তোমরা ভালোভাবে গড়ে না উঠলে আমরা তলিয়ে যাবো। তিনি বলেন, আমি দায়িত্ব নেয়ার পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়কে হাতকাটা রাজনীতি থেকে মুক্ত করতে পেরেছি। কয়েক বছর আগেও আমরা মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে পারনি। এখন ছেলেমেয়েরা লেখাপড়া করে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে পারছে। তারা বুঝতে পারছে, আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। এখন আমরা বিশ্বে রোল মডেল। তিনি বলেন, এখানে এসে আমার খুব ভালো লাগছে, আমি আনন্দিত। এ সকল অনুষ্ঠান ও খেলাধুলার মাধ্যমে আমাদের মন ও প্রাণের বিকাশ ঘটে। আমরা সবাই ভালোবাসার মধ্যে থাকতে চাই। একে অপরকে ভালোবাসতে হবে।

সোনালী ব্যাংকের সাবেক জিএম কবির হোসেনের সভাপতিত্বে প্রাক্তন শিক্ষার্থী নুরুন্নাহার ডলি ও এম বাসারের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাসরিন জাহান চৌধুরী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হুমায়ূন রশিদ, শাহরাস্তি পৌরসভার মেয়র হাজী আঃ লতিফ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জেডএম আনোয়ার হোসেন, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য জামাল হোসেন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব ড. আনোয়ার হোসেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মোয়াজ্জেম হোসেন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ইঞ্জিনিয়ার মুকবুল হোসাইন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর হোসেন, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ ইয়ামিন ও আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব কাজী শাহজাহান শানু। দিনব্যাপী অনুষ্ঠান শেষে সন্ধ্যায় জাতীয় শিল্পীদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়