চাঁদপুর, শনিবার, ১০ জুন ২০২৩, ২৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০, ২০ জিলকদ ১৪৪৪  |   ৩৩ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতি শিক্ষা স্বাস্থ্য সারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ১৭ জুন জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন না করতে জেলা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সর্বোচ্চ চেষ্টা
  •   বিজ্ঞান শিক্ষায় আগ্রহীদের উদ্ভাবক হিসেবে তৈরি করতে হবে : জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান
  •   একদিনের ব্যবধানে ৪ মেয়ে শিশুর মৃত্যু : এবার আশিকাটিতে পুকুরে ডুবে দুই বোনের মৃত্যু
  •   ফরিদগঞ্জে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে দেশীয় অস্ত্র ও মাদকসহ আটক তিন
  •   ২৮৬ শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা দিলো হাজীগঞ্জ পৌরসভা

প্রকাশ : ৩১ মার্চ ২০২৩, ০০:০০

অনিয়মের আবর্তে ফরিদগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ
ফরিদগঞ্জ ব্যুরো ॥

ফরিদগঞ্জ উপজেলার ১৪নং ফরিদগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতায় বিষয়ে ইউপি সদস্যদের আনীত অভিযোগ নিয়ে আবারো সালিসি বৈঠকের মাধ্যমে সমাধানের (!) চেষ্টা হয়েছে। ইতঃপূর্বে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ বিষয়ে উভয় পক্ষকে নিয়ে বসা হয়েছিল। এদিকে ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যসহ চেয়ারম্যানের নানা অনিয়মের ঘটনায় অতিষ্ঠ পরিষদের সদস্য ও এলাকাবাসী।

সর্বশেষ গত ২৮ মার্চ মঙ্গলবার উপজেলার ১৪নং ফরিদগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদে ভিজিডি কার্ডের চাল বিতরণে অনিয়ম নিয়ে প্রতিবাদ করায় চেয়ারম্যানের ভাড়াটিয়া বাহিনী কর্তৃক হামলায় আহত হয়ে ফরিদগঞ্জে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হতে হয়েছে ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলামকে। এই বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে ইউনিয়ন পরিষদের পুরুষ-মহিলাসহ ৯ জন সদস্যের স্বাক্ষরিত অভিযোগে জানা যায়, চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন রিপন ২০৩টি ভিজিডি কার্ড আনুপাতিক হারে সদস্যদের মাঝে বিতরণের কথা থাকলেও প্রতি সদস্যকে ১টি করে কার্ড দেয়া হয়। বাকি কার্ডের অধিকাংশ চেয়ারম্যান নিজস্ব লোক এবং টাকার বিনিময়ে সচ্ছল লোকদের মাঝে বিক্রি করেন। চেয়ারম্যান রিপন উপজেলা পরিষদের মাসিক আইনশৃঙ্খলা ও সমন্বয় সভায় অংশগ্রহণ না করেও বহাল তবিয়তে পরিষদের আনুকূল্য পাচ্ছেন। বিভিন্ন অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে ইতিপূর্বেও তার বিরুদ্ধে পরিষদের সদস্যরা অভিযোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু প্রতিবারই উপজেলা প্রশাসন উভয় পক্ষকে বসিয়ে মিটমাট করে দেয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার ৩০ মার্চ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাছলিমুন্নেছা সকল সদস্য ও চেয়ারম্যানকে নিয়ে উপজেলা পরিষদে অভিযোগের ভিত্তিতে সালিসি বৈঠকের আয়োজন করেন। এ সময় নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে বেশ কিছু বহিরাগতদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। যাদের দ্বারা ইউপি সদস্য আহত হয়েছেন, তাদেরকেও সে সময় সেখানে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। সে সময় উপস্থিত সদস্যদের কেউ কেউ বলেন, আমরা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে এসেও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি, কেন না চেয়ারম্যানের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা এখানেও উপস্থিত।

এই বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাছলিমুন্নেছা জানান, উভয় পক্ষকে মিলেমিশে জনগণের কল্যাণে কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছি। এছাড়া বহিরাগতদের শাসিয়ে বলেছি, এখান থেকে চলে না গেলে এবং ইউনিয়ন পরিষদে যে অঘটন ঘটিয়েছে তার পুনরাবৃত্তি ঘটালে আইনের আওতায় আনতে বাধ্য হবো। উপজেলা পরিষদের আগামী মাসিক সভাগুলো ও ইউনিয়ন পরিষদের নিয়মিত সভাগুলোতে উপস্থিত থেকে পরিষদকে সচল করতে ও জনগণকে কাঙ্ক্ষিত সেবাদানের জন্য চেয়ারম্যান রিপনকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এদিকে ইউপি সদস্যরা জানান, আমরা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি এবং গত বুধবার চাঁদপুর জেলা প্রশাসক মহোদয়ের বরাবরে যে অভিযোগ দিয়েছি তাতে সুবিচার পাবো বলে বিশ্বাস করছি।

উল্লেখ্য, এর আগেও দুবার চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন রিপনের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসকের বরাবর তার অনিয়ম ও স্বেচ্ছচারিতার জন্য লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে বলে ইউপি সদস্যরা নিশ্চিত করেছেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়