প্রকাশ : ০৫ আগস্ট ২০২১, ০০:০০
হাইকোর্টের স্থিতাবস্থার আদেশ অমান্য করে চলছে চেয়ারম্যানঘাটের সৌদিয়া সিটির কাজ

মহামান্য হাইকোর্টের স্থিতাবস্থার আদেশ অমান্য করে চলছে চাঁদপুর শহরের চেয়ারম্যানঘাট এলাকাস্থ সৌদিয়া সিটির নির্মাণ কাজ। উচ্চ আদালত গত ১৫ জুলাইর এক আদেশের মাধ্যমে চাঁদপুর সদর উপজেলার চেয়ারম্যানঘাটস্থ সৌদিয়া সিটির নির্মাণাধীন কাজ বন্ধের জন্যে ৪ মাসের স্থিতাবস্থার নির্দেশ প্রদান করে।
|আরো খবর
বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরীর বেঞ্চে দরখাস্তকারীগণের পক্ষে অ্যাডঃ মোহাম্মদ বাবরুল আমিনের শুনানি শেষে আদালত প্রতিপক্ষগণকে উক্ত কাজ কেন বন্ধ রাখা হবে না এর কারণ জানতে চেয়ে আগামী ৩ মাসের মধ্যে তাদেরকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।
জানা যায়, এই ভূমির দাবিকৃত মালিক মাহমুদা খাতুন ও মনি গংদ্বয়ের উচ্চ আদালতে রিভিশনের পরিপেক্ষিতে আদালত এই নির্দেশ প্রদান করে। আদালত একই ভূমির দাবিকারী মোঃ দেলোয়ার হোসেন আখন্দ গংকে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশও দিয়েছে।
হাইকোর্টে এই মামলার রিভিশনকারীগণ চাঁদপুর সদর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের দেওয়ানী মামলা নং-৪৬৬/১৯-এর আদেশের বিরুদ্ধে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মিস আপিল ৩১/২০ দায়ের করেন। এরই পরিপেক্ষিতে জেলা ও দায়রা জজ আদালত চাঁদপুর নিম্ন আদালতের রায় বহাল রেখে আদেশ প্রদান করেন।
এই আদেশের বিরুদ্ধে সংক্ষুব্ধ হয়ে ভূমির দাবিকৃত মালিক এবং মূল মামলার ১ থেকে ৫ নম্বর প্রতিপক্ষগণ মহামান্য হাইকোর্টের রিভিশন মামলাটি দায়ের করেন। কিন্তু দেলোয়ার হোসেন গং হাইকোর্টের নির্দেশ ও আদেশ অমান্য করে স্থিতাবস্থাকৃত জায়গায় বহুতল ভবণ নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। সরজমিনে বুধবার সকালে গিয়েও দেখা যায় যে নির্মাণাধীন ভবনের কাজ চলছেই।
নির্মাণাধীন কাজের ব্যাপারে এ প্রতিবেদক দেলোয়ার হোসেন আখন্দের মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাকেতো আদালত থেকে কোনো কিছু জানানো হয়নি। ওই পক্ষ একজন আইনজীবীর পেডে থানা পুলিশকে অবগত করেছেন। আমার আইনজীবী বলেছেন, এটি ভুয়া। থানা পুলিশ নয়, আদালত যে সিদ্ধান্ত দেবে সেটাই আমি মেনে নিবো।
স্থিতাবস্থার ব্যাপারে হাইকোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ বদরুল আমিনের মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মহামান্য হাইকোর্টের আদেশ অনুযায়ীই আমি আমার পেডে বিচারপতির আদেশটি উল্লেখ করেছি। আমি আদেশের বাইরে কোনো কিছুই করিনি। লকডাউনের কারণে আদালত বন্ধ থাকায় থানা-পুলিশ এই কাজটি বন্ধ করতে পারে। আদালত খোলা থাকিলে বিচারকের নির্দেশে নাজির কিংবা অন্য কেউ এসে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিতে পারতেন। যেহেতু আদালত বন্ধ সেক্ষেত্রে থানা কর্তৃপক্ষ মহামান্য হাইকোর্টের এ আদেশের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে।